মেহেরপুরের মাটিতে ২০০৬ সালে একটি ক্ষুদ্র কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, আজ তা রূপ নিয়েছে জাতীয় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এক মহীরুহে। এস এম রাসেলের অক্লান্ত পরিশ্রম ও দূরদর্শী নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত রশ্নি টেকনিক্যাল কম্পিউটার ইন্সটিটিউট বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় NSDA ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (BTEB) অনুমোদিত একটি প্রতিষ্ঠান। কেবল প্রশিক্ষণেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃত NSDA Assessment Center হিসেবে এটি দেশের হাজারো বেকার যুবক-যুবতীর জীবনযাত্রা বদলে দিচ্ছে।
দেড় যুগের এই দীর্ঘ অভিযাত্রায় প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫,০০০-এর অধিক শিক্ষিত কিন্তু বেকার যুবক-যুবতীকে দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৬০০-৭০০ জন আজ দেশের বিভিন্ন সেক্টরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। এমনকি বিদেশের মাটিতেও ৩০-৪০ জন সফলভাবে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। এস এম রাসেলের পরিচয় ও কর্মক্ষেত্র প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় NSDA-এর রেজিস্টার্ড ICT Assessor হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত এস এম রাসেল বর্তমানে মেহেরপুর সমাজসেবা কার্যালয়ের আইটি বিভাগের প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি রশ্নি টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক। মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করার পর তিনি নিজের জ্ঞানকে আরও শাণিত করেছেন জাতীয় পর্যায়ের দক্ষতা উন্নয়ন ব্যবস্থায়। তিনি NSDA ও BTEB অধীনে CBT&A Level-4 Certified Trainer & Assessor। ইতিমধ্যে তিনি ১০টি জাতীয় স্বীকৃত লেভেল সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: NSDA অধীন জাতীয় স্বীকৃতি স্কিল Digital Marketing For Freelancing 6 & Level-4 Digital Marketing for Freelancing, Level-3 Computer Operation, Level-3 Graphic Design, Level-3 IT Support Service
এছাড়াও আরও বহু দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে তিনি করেছেন এক অনন্য উদাহরণ। রাসেলের ভাবনা ও অঙ্গীকার তার ভাষায় – “শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের আইটি সেক্টরে সঠিক প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে জাতীয় পর্যায়ে সনদপ্রাপ্ত করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলা আমার পেশা নয়, এটি আমার নেশা।” আজ প্রতিটি সেশনে শত শত শিক্ষার্থী NSDA অধীনে প্রশিক্ষণে যোগ দিচ্ছে, RPL Assessment-এর মাধ্যমে সারাদেশ থেকে দক্ষতা যাচাই করাতে আসছে। ফলে তারা অর্জন করছে জাতীয় স্বীকৃত সরকারি সনদ এবং তৈরি করছে কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত। এর ফলেই ক্রমশ কমছে দেশের বেকারত্বের হার।